করোনা যুদ্ধের যোদ্ধা স্বাস্থ্য কর্মী সিএইচসিপি।

স্বাস্থ্য কর্মী  সিএইচসিপি করোনা  যুদ্ধের যোদ্ধা
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই (যুদ্ধ) রূপকার্থে নয়, আক্ষরিক অর্থেই একটি যুদ্ধ এই যুদ্ধের সামনের কাতারে আছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সিএইচসিপি তাদের সহায়তা দিচ্ছেন চিকিৎসা-বিজ্ঞানী, গবেষক আনুষাঙ্গিক প্রতিষ্ঠান, প্রশাষন যা সরাসরি মানুষের চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত তারাও এই যুদ্ধের সৈনিক

Trulli
Farhad Hossain, chcp, করোনাকালীন সময় সিসিতে সেবা

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউনের মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো: ফরহাদ হোসেন থেকে ১০ হাজার লোকের কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন তিনি ৷ ফরহাদ সিএইচসিপি প্রতিদিন কমিউনিটি ক্লিনিকে বসে জনগনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি করোনার থেকে বাঁচতে যত হাল হাতিয়ার দরকার/ যা করা দরকার তাও হাতে কলমে শেখাচ্ছেন তিনি কোনও বাড়িতে অসুস্থ কেউ আছেন কি না, সেই তথ্যও সংগ্রহ করছেন তিনি যারা বিদেশ অথবা ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছেন তাদের হোম করেন্টাইন পরামর্শ দিচ্ছেন  কোন সন্দেহ ভাজন করোনা রোগী মনে হলে পরীক্ষা বা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে সাথে অবহিত করছেন এবং পরামর্শ নিচ্ছেন  

     যুদ্ধে যেমন সৈনিক ছাড়াও জনগণেরও একটা ভূমিকা থাকে, এই যুদ্ধেও তা আছে এটি মুক্তিযুদ্ধ, করোনা থেকে দেশের এবং বিশ্বের মানুষের মুক্তিযুদ্ধ
প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটিই হলো ঘরে থাকা
জনসমাবেশ এড়ানো বা জনসমাবেশ না করা
মানুষের স্পর্শে না আসা
ঘন ঘন সাবান-জলে হাত ধোয়া
প্রয়োজনে মাক্স ব্যাবহার করা

 আর এই সময়ে সিএইচসিপি বিরতীহীন ভাবে উক্ত কাজগুলো নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে
  

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।  ঘরে থাকছেন না; করোনাকে নিজের অজান্তেই বয়ে বেড়াচ্ছেন এবং নিস্পৃহ থাকছেন, কদর্য দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে অন্যদের সংক্রমিত করছেন অন্যদের বাঁচার অধিকার যারা কেড়ে নিচ্ছেন- তাদেরকে আরো সচেতন করতে হবে।
তাদের প্রতিদিন বুঝাচ্ছেন এই  সিএইচসিপি
.
করোনা ভাইরাস থেকে বাচতে সচেতন হই। ঘরে থাকি, নিজে ভাল থাকি, পরিবার এবং দেশকে ভালো রাখি। ******করোনা রোগের লক্ষন :******* ০১, সদ্দি , ০২. কাশি, ০৩. জ্বর, ০৪. মাথা ব্যথা, গলা ব্যাথা, ০৫. মারাত্নক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, ০৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস, ******* করোনা ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় :****** মুলত বাতাসে Air Ddoplet এর মাধ্যমে।  হাচি ও কাশির মাধ্যমে,  আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে ভাইরাস আছে এমন কোন কিছু স্পর্শ করে হাত না ধুয়ে মুখে নাকে বা চোখে লাগলে, সর্দি কাশি জ্বর হলে হাসপাতালে না গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা দানকারী হটলাইন গুলোতে ফোন করুন। আইইডিসিআর হটলাইন-১০৬৫৫, ন্যাশনাল কল সেন্টার, ৩৩৩ , স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩, রংপুর মেডিকেল কলেজ- ০১৭১২১৭৭২৪৪ চিরিরবন্দর হাসপাতাল- ০১৭৩০৩২৪৬৩৮ যার যার ঘরে থাকি। নিজের পরিবার এবং দেশকে ভালো রাখি। ***** প্রতিরোধ***** ০১. ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোন কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড, ০২. সাবান পানি না থাকলে ৬০% অ্যালকোহল ভিত্তিক স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন ০৩. হাঁচি, কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন ০৪. অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন ০৫. হাঁচি দেওয়ার সময় হাতের কনুই এর ভাজে বা টিস্যু দিয়ে মুখ ও নাক ঢাকুন । ০৬. টাকা বিনিময়ের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। ০৭. যেসব জিনিস ও স্থান মানুষ বেশি স্পর্শ করে সেগুলো জীবাণু নাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন ০৮. হাঁচি, কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত হলে ঘরে থাকুন, ও মাস্ক ব্যবহার করুন ০৯. করমর্দন ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। ১০. কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগী এবং তার সংস্পর্শে আসা এড়িযে চলুন। ১১. জনবহুল স্থান ও গনপরিবহন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
.
এই কাজে ইউপি মেম্বর/ সিসি সভাপতি স্থানিয় সরকারের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছেন সিএইচসিপি মোঃ  ফরহাদ হোসেন
করোনার সময় সিসিতে সেবা নিতে হাত ধোয়া শিক্ষা


মহামারী করোনায় সবাই যখন আতঙ্কিত, তখনপ্রতিকার নেই কিন্তু প্রতিরোধ সম্ভব কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিমেড হেলথ নিয়ে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন জাতীয় কোভিড-১৯ ডিজিটাল সার্ভেলাইন্স সিস্টেম (COVID-19 DSS) যার উদ্দেশ্য হচ্ছে :

জনসচেতনতা তৈরি, ডিজিটাল স্ক্রিনিং পরিষেবা, রোগী সনাক্তকরণ রেফারেল, স্বাস্থ্যকর্মী সুরক্ষা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ, তথ্য কেন্দ্রীকরণ বিশ্লেষণ, হোম কোয়ারাইন্টাইন ব্যাক্তিকে স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা পর্যবেক্ষণ, সহায়তা এবং প্রয়োজনবোধে বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রেরণে সহায়তা করা নিজস্ব মোবাইল থেকেCMED” অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেই নিজের স্ক্রীনিং করা সহ করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে করনীয় বিষয় সম্পর্কে সহজেই জানা




"করোনা কালিন স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিক

আসুন করোনা প্রতিরোধের ব্যবস্থা সম্পর্কে জানি এবং দেশকে করোনা মুক্ত করতে সহায়তা করি


 করোনার টিকা নিতে সিএইচপি মাঠ পর্যায়ে অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন করে যাচ্ছে, 

করোনার টিকা নিতে যেভাবে অনলাইন নিবন্ধন করবেন ?

করোনার টিকা নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধন করতে হবে ‘সুরক্ষা’ নামক ওয়েব পোর্টালে

   www.surokkha.gov.bd

অ্যান্ড্রয়েড বা অ্যাপল প্লে স্টোর থেকেও সুরক্ষা মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করেও করা যাবে নিবন্ধন।

সেখানে গিয়ে ‘নিবন্ধন’ বাটনে ক্লিক করে প্রথমে ধরন নির্বাচন করতে হবে। 

এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডিনম্বরজন্মতারিখ (এনআইডি অনুযায়ীদিতে হবে। 

জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে নিবন্ধন করা যাবে না।



তথ্যগুলো ঠিকমতো দিলে বাংলায়  ইংরেজিতে নাম দেখাবে। এরপর মোবাইল নম্বর দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি রোগ বা কো-মরবিডিটি থাকলে সেটা বলতে হবে। টিকা গ্রহণকারীর পেশা এবং কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট কোনো কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত কি নাসেটি ও দিতে হবে।

সবশেষে টিকা গ্রহণকারীর বর্তমান ঠিকানা  কোন কেন্দ্রে টিকা নিতে ইচ্ছুকসেটি দিলে নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।

 করোনার টিকা নিন, নিজে সুস্থ্য থাকন, অন্যদের সুস্থ্য রাখুন, পরিবার রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আজই সিসিতে চলে আসুন

-
সিসিতে করোনা সচেতনতা মুলক বিভিন্ন পোষ্টার









খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো: ফরহাদ হেসেন, করোনার উপর অনলাইন লেখাপড়া (মুক্তপাঠ) করা বিভিন্ন সাটিফিকেট-

 ০৪. করোনা ভাইরাস-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং কন্ট্রোল (আইপিসি) এর ওয়ার্ড হেলথ
০৫.  লক ডাউন এরিয়াতে পণ্য ডেলিভারি -এর নির্দেশনা কোর্স


 অর্গানাইজেশন (WHO) গাইটলাইন এর উপর লেখাপড়া অতপর সার্টিফিকেট
Infection Prevention and Control (IPC) for Novel Coronavirus (COVID-19),






লকডাউন এলাকায় পণ্য ডেলিভারি- এর নির্দেশনা




-
Natural .. . Natural Natural Natural

-

খেড়কাটি সিসিতে আসুন, সেবা নিন সুস্থ্য থাকুন

শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ


ভাল লাগলে শেয়ার করুন



ব্লগার / CHCP এর সাথে যোগাযোগ / মতামত জানাতে -