১৪ ই নভেম্বর/২০২০ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষ্যে খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে আলোচনা সভা ও আগত রোগীদের মাঝে স্বাস্থ্য শিক্ষার পাশাপাশি ডায়াবেটিস এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতনতা করা হয় ও বিনা মুল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়।
ডায়াবেটিস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টিই ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’-এর প্রধান লক্ষ্য।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে
ডায়াবেটিস নির্ণয়, সচেতনতামূলক পোস্টার, লিফলেট বিতরণ, প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি, চিকিৎসক-রোগীদের আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব । ‘ডায়াবেটিস সেবায় পার্থক্য গড়ে দেন নার্সিংয়ে প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হচ্ছে।
যে হারে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছে এতো পরিমাণ রোগীর সার্বিক চিকিৎসার জন্য নার্সদের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। উন্নত বিশ্বে ডায়াবেটিস নার্সদের আলাদা ইউনিট থাকে যাদের কাজ হলো ডায়াবেটিস রোগীদেরকে তাঁদের রোগ সম্পর্কে জানানো, কিভাবে মেডিসিন নিতে হবে শিখিয়ে দেওয়া, হাত, পা, চোখ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হবে বুঝিয়ে দেয়া, নিজে নিজে রক্ত পরীক্ষা করা ও ইন্সুলিন নেয়া শিখিয়ে দেয়া, নিয়মিত ফলো-আপে আসার গুরুত্ব বুঝিয়ে দেয়া ইত্যাদি।
এভাবে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় একজন প্রশিক্ষিত নার্স অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। আর তাই বলা হচ্ছে যে ‘ডায়াবেটিস সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই’। ডায়াবেটিস এর চিকিৎসায় রোগী, চিকিৎসক, নার্স, পরিবারের সদস্য সকলেরই সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন। আর তাহলেই একজন ডায়াবেটিক রোগী সচেতন হতে পারবেন এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। একই সঙ্গে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে জীবনযাত্রার মান ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা ও ব্যায়াম করতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া ও কোমল পানীয় বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ধূমপান ও তামাক সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।
যাদের পরিবারে বাবা-মা বা নিকট আত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে তাদের ৪৫ বছরের পরে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করতে হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন