২১ তম সিসি প্রতিষ্ঠা দিবস/২০২১
২১তম কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ৯ নং ভিয়াইল ইউনিয়নের খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করা হয়।
২৬ এপ্রিল, কমিউনিটি ক্লিনিক দিবস। ২০০০ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়। ঝাঁকজমক পরিবেশে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ২১ তম কমিউনিটি ক্লিনিক দিবস উদযাপন হওয়ার কথা কিন্তু সারা পৃথিবীজুড়ে করোনা ভাইরাসের মহামারীতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে সেবা প্রদানে ব্যস্ত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিবিএইচসি প্রতি জন্ম র্বাষিকীতে উপজেলা ও কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালনের উদ্যোগ নেয়।এ বছরও জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীদের ভিড় কমলেও বেড়েছে গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে।
দেশের জনগণকে একটি নির্দিষ্ট মান সম্মত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গ্রামীণ জনগনের দোর গোড়ায় একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্যাকেজের মাধ্যমে সমন্নিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রাম/ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন ও কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন করে কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আর জনগণ পাচ্ছে হাতের নাগালে স্বাস্থ্য সেবা।
শেখ মুজিবের ডাইরীতে জনগণের দোড়-গোড়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপনের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু।সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেন তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের শহর এলাকায় সরকারী বেসরকারী পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মিত হওয়ার পর ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে সরকার পল্লী এলাকায় কমবেশী ৬০০০ জনগোষ্টির জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।
পল্লী এলাকার জনগণকে বিশেষতঃ দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্টিকে একটি কেন্দ্র থেকে সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা। এই উদ্দ্যেশ্য অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকে যাত্রা শুরু হলেও আজ থেকে ২১ বছর পুর্বে ২০০০ সালে ২৬শে এপ্রিল দেশের প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিক গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামে তৎকালিন ও বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্ভোধন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয় ও বর্তমানে অব্যহত রয়েছে।
কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সিএইচসিপি প্রদত্ত সেবাসমূহ হলো মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরিচর্যা, শিশু রোগের সমন্বিত চিকিৎসা সেবা,প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা,ইপিআই বা টিকা, এআরআই-এর চিকিৎসা,সদ্য বিবাহিতা এবং অন্তঃসত্তা মহিলাদের নিবন্ধীকরণ, সম্ভাব্য প্রসব তারিখ নিরূপণ ও সংরক্ষণ, পুষ্টি শিক্ষা ও সম্পূরক মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট প্রদান,সদ্য প্রসূতি মা, মারাত্মক পুষ্টিহীন ও দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের ‘ভিটামিন-এ’ ক্যাপসুল প্রদান, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে শিক্ষা ও পরামর্শ, সাধারণ রোগ ও জখমের চিকিৎসা, বয়স্কদের লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা,শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের শনাক্ত ও রেফার করা, জরুরি ও জটিল রোগী উচ্চতর পর্যায়ে রেফারের মাধ্যমে কার্যকরী রেফারেল পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা ও সেবাসমূহের তথ্য যথাযথভাবে সংশ্লিষ্টদের প্রেরণ করে।
১৯ তম সিসি প্রতিষ্ঠা দিবস/২০১৯ | অন্যান্য দিবস |
1 মন্তব্য(গুলি):
ভাল খুবেই ভাল, ধন্যবাদ ফরহাদ ভাই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন