শেখ হাসিনার অবদান কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ

শেখ হাসিনার অবদান কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ --
স্বাস্থ্যই সম্পদ, সুস্বাস্থ্য জীবন ও দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এই সরকারের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক সবার শীর্ষে।

 গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলা হয়েছে।



        সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত প্রায় ১৪০০০ গরীবের হাসপাতাল খ্যাত কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার(সিএইচসিপি)জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষাপ্রদানের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন এনেছে। এই স্বাস্থ্য কর্মীদের পরিশ্রমের ফলে কমিউনিটি ক্লিনিক এখন বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এই কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য আন্তজার্তিকভাবে বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন । সরকারের বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীরা এই সরকারের সাফল্যর গুণগান করতে গিয়ে প্রথমেই কমিউনিটি
ক্লিনিকের সাফল্যর কথা তুলে ধরেন।


স্বাস্থ্য মানুষের অমূল্য সম্পদ। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূলযার স্বাস্থ্য ভালো, তার সবকিছুই ভালো। একজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষের মনে থাকে সবসময় কর্মচঞ্চলতা। সে হেসে-খেলে যে কোনো কর্ম মনের আনন্দে করে যায়। অলসতা তার ধারেকাছে আসতে পারে না। আর যে মানুষের মনের মধ্যে কর্মচঞ্চলতা থাকে, সে তার জীবনে উন্নয়নের স্বর্ণশিখরে পৌঁছতেপারে অতি সহজে। স্বাস্থ্যহীন মানুষ তার কর্মজীবনে সফলতা লাভ করতে পারে না। কারণ তার সংসারে সবসময় রোগ-বালাই লেগেই থাকে। ডাক্তারের কাছে যেতে যেতে সে শূন্য হয়ে যায়। যার কারণে অভাব তার পিছু ছাড়ে না। তাছাড়া স্বাস্থ্যহীন লোক কোনো কর্ম করতে পারে না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রামীণ অবহেলিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রশাসনের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে বাংলাদেশসহ বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেযেখান থেকে গ্রামের অবহেলিত জনগোষ্ঠী অতি সহজে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পেয়েথাকেন। সহস্রাব্দেরউন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং ভিশন ২০২১ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের অগ্রযাত্রা। এটা সমন্বিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সংক্রান্ত প্রাথমিক
স্বাস্থ্যসেবায় আলোকবর্তিকা।
জনগণের দোরগোড়ায় প্রাথমিকস্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবেও আলোচিত। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান বাংলাদেশ সফরে এসে কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগকে বিপ্লব হিসেবে আখ্যা দেন।  গ্রামীণ জনগণের অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসাসেবা বিতরণে প্রথম স্তর কমিউনিটি ক্লিনিক। তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুসারে ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার হিসেবে শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। এখানে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেনশুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিনকমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার কমিউনিটি ক্লিনিকে উপস্থিত থেকে সেবা প্রদান করেন। স্বাস্থ্যকর্মী এবং পরিবার কল্যাণ সহকারীরা সপ্তাহে তিন দিন করে কমিউনিটি ক্লিনিকে
বসেন। কে কোন দিন বসবেন, তা স্থানীয়ভাবে ঠিক করা হয়। অফিস সময় সকাল৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।


বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের ওয়েব পোর্টাল Dhis2 অনলাইনস্বাস্থ্য তথ্য ভান্ডার। কমিউনিটি ক্লিনিকের তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে এখন অনেক সমৃদ্ধ। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক এখন ডিজিটালাইজড। প্রতিটি ক্লিনিক হতে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য অনলাইনে রেকর্ড বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য তথ্য আন্তজার্তিক মানে পৌঁছে দিয়েছে। মাও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই স্বাস্থ্য কর্মীরা নিরালস ভাবে কাজ করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে।



CHCP-
একজন
সিএইচসিপি কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা দেয়ার কারনে-
প্রতি দিন গড়ে ৩৫/৪০ জন সাধারন রোগীকে যেতে হচ্ছে না উপজেলা হাসপাতাল, মেডিকেলকলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, প্রাইভেট হাসপাতালে, ফলেএকজন রোগী যেমন- সময়, যাতায়ত খরচ, মহিলা হলে তার সাজু গুজুও সঙ্গে একজন সাথী, ওষুধ কেনা অর্থনৈতিক থেকে রক্ষা পাচ্ছে, সাবলম্বীহচ্ছে তার পরিবার, তেমনি- উপজেলাও জেলা হাসপাতালে কমছে রোগীর চাপ।