বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ (১২-১৮নভেম্বর, ২০১৮) স্লোগানঃ অযথা আন্টিবায়োটিক সেবন ক্ষতির কারণ, বিনা প্রেসক্রিপশনে তা কিনতে বারণ।

বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ (১২-১৮নভেম্বর, ২০১৮)
স্লোগানঃ অযথা আন্টিবায়োটিক সেবন ক্ষতির কারণ, বিনা প্রেসক্রিপশনে তা কিনতে বারণ। 






    কারো জ্বর হলে কিংবা কেউ ড়ায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এজিথ্রোমাইসিন,সিপ্রোফ্লক্সাসিন বা মেট্রোনিডাজলের মত ড্রাগ অসচেতন ভাবে ব্যবহার করতে থাকি,অথবা কোর্স সম্পুর্ন করিনারোগ সৃষ্টি কারী এই জীবানুদের বিশাল ক্ষমতা আছে তাদের বিরুদ্ধে যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, তা যদি সঠিক ভাবে ব্যবহার না করা যায় তবে তারা ঐ অস্ত্রের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়,এবং ওর বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।।ফলশ্রুতিতে ঐ ড্রাগে আর কাজ করেনা, যেটাকে বলে রেজিস্ট্যান্স তৈরি হওয়া। আর তাই এজিথ্রোমাইসিন এর মত কার্যকরী ড্রাগ ও এখন রেজিস্ট্যান্ট হযে় যাচ্ছে, আর মৃত্যুর দিকে এগিযে় যাচ্ছে কোটি কোটি প্রান।।

অতিরিক্ত অপর্যাপ্ত এবং অযৌক্তিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিবাণুর উদ্ভব হচ্ছে। এটার একমাত্র কারণ অজ্ঞতা।


এন্টিবায়োটিক কী?

 ‘এন্টিবায়োটিকশব্দের উৎপত্তি  হয়েছে গ্রিক শব্দএন্টিবায়োসথেকে এন্টি অর্থ বিপরীত বায়োস অর্থ প্রাণ অর্থাৎ এটি জীবিত মাইক্রোঅর্গানিজমের বিরুদ্ধে কাজ করে। যেসব রোগ
 সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়, তা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ের জন্য
এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। 
 ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারণে যেসব রোগ হয়, সেগুলো নিরাময়ের জন্য এটি ব্যবহার করা হয় এজন্য ভাইরাসজনিত রোগের বিপরীতে এন্টিবায়োটিক কার্যকরী নয় এক জীবাণুর বিরুদ্ধে যেমন সব এন্টিবায়োটিক কাজ করে না, তেমনি সব জীবানুর বিরুদ্ধে একই এন্টিবায়োটিক কাজ করে না এন্টিবায়োটিক দেহে প্রবেশ করলে বিভিন্ন জীবাণু এটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে জীবাণুগুলো সাময়িকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয় এর ফলে আমাদের দেহ সুস্থ হতে শুরু করে



এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স কী?
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলতে বোঝায় এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়া অর্থাৎ যদি এমন কোন ঔষধের বিরুদ্ধে জীবাণুর প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে যার প্রতি একসময় জীবাণুটি সংবেদনশীল ছিল (মানে ঔষধটি জীবাণুর বিষক্রিয়া নষ্ট করতে পারত) কিন্তু ওই জীবাণুর বিপক্ষে এটি এখন আর কাজ করতে পারছে না অর্থাৎ কোনো বিশেষ জীবাণুর জন্য যেসব গুণাবলী ওষুধে থাকার কথা তা ঠিক রয়েছে এবং তা সঠিকভাবে সংরক্ষণও করা হয়েছে কিন্তু সবকিছুর পরও ওই জীবাণুর বিপক্ষে এটি আর কাজ করতে পারছে না!






এক লোক খুব ঘন ঘন ডাক্তারের কাছে যান বলে এক বন্ধু জানতে চাইলো – 
দোস্ত তোর সমস্যা কি? বার বার ডাক্তারের কাছে যাস-
তো সে বলল ‘আরে, ডাক্তারদের খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে না!’
বন্ধু জিজ্ঞাসা করলো, তাহলে ওষুধ কিনছে কেন?
সে বলল-
‘ ফার্মেসির লোকজনের খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে তাই!’
তাহলে, -
বন্ধু আবার জানতে চাইলো, ওষুধ কিনে সে বাসায় আনছে, কিন্তু ওষুধ খাচ্ছে না কেন?
 হাসিমুখে বন্দু বললেন, ‘আরে, আমাকেও ওষুধেন পার্ষপ্রতিকৃয়া থেকে বাঁচতে হবে তাই?’


  

একান্তই প্রয়োজন না হলে এন্টিবায়োটিক সেবন পরিহার করুন। শরীরকে সুস্থ রাখুন।




এন্টিবায়োটিক সচেতনতা শেয়ার করুন


শেয়ার করুন

অনলাইন থেকে সংগৃগীত