কমিউনিটি ক্লিনিক।
Sheikh Hasina's
innovation, Community Clinic saves lives.
"শেখ হাসিনার অবদান'
কমিউনিটি ক্লিনিক বাচায় প্রান"
Community অর্থ নিদিষ্ট
এলাকার জনগন, আর Clinic অর্থ স্বাস্থ্য সেবা দান কারী প্রতিষ্ঠান অথ্যাৎ নিদিষ্ট এলাকার
জনগনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার নাম কমিউনিটি ক্লিনিক। Community Clinic.
বাংলাদেশের
সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব
পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদনশক্তির ক্রমবৃদ্ধি সাধন এবং
জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতিসাধন, যাতে
নাগরিকদের জন্য অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক
উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়। অনুচ্ছেদ ১৬ মতে, নগর ও গ্রামাঞ্চলের
জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে অন্যান্য
ব্যবস্থার সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল
রূপান্তরসাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অনুচ্ছেদ ১৮(১)
তে বলা আছে, জনগণের পুষ্টি স্তর-উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে
রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলে গণ্য করবেন। এতে স্পষ্ট যে, সমগ্র
বাংলাদেশের, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা, পুষ্টি স্তর-উন্নয়ন ও
জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধন করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। আর রাষ্ট্রের সেই
কর্তব্য পালনের অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি) –
Community Clinic (CC) ।
বিশ্বের
রাষ্ট্রপ্রধান বা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধানদের নিয়ে বাংলাদেশ সহ ১৬৬ টি দেশ ১৯৭৮ সালের ৮ এপ্রিল তৎকালীন রাশিয়ার
কাজাকিস্থান প্রদেশের আলমা আতা (ALMA-UTA) নামক স্থানে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত
সম্লেলনে সবাই এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয় যে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা (Primary Health
Care) হচ্ছে-
“২০০০ সাল নাগাত সবার জন্য স্বাস্থ্য” অর্জনের মুল চাবিকাঠি (Key Strategy) . সুতরাং প্রাথমিক
স্বাস্থ্য পরিচর্যা যথাযত বাস্থবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট
বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দুই দুইবার সফলতার সহিত নির্বাচিত সারা বিশ্বের সুনাম ও
খ্যাতি অর্জন কারী বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মুন্ত্রী
ও বঙ্গ কন্যা দেশ রত্ন শেখ হাসিনা ২০০০ সালের মধ্যে
সবার জন্য স্বাস্থ্য; এ অভিষ্ট লক্ষে পৌছাতে অঙ্গীকারবদ্ধ (Signatory Member).
১৯৮৬ সালে সবার জন্য স্বাস্থ্য কর্মকান্ডের যে মুল্যায়ন হয় তাতে প্রতিয়মান হয় দেশের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থ্য প্রথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার যে ধারায় বাস্থ্যবায়ন হহয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না। পরিস্থির বিচারে সরকার ১৯৮৭ সালে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যাকে জোরদার করার কর্মসুচি হাতে নেন। এ কর্মসুচির আওতায় তৃনমুলে স্বাস্থ্য পরিচর্যা প্রদানের প্রান্তসীমা অথ্যাৎ ইপিআই আউটরিচ সেন্টার ও স্যাটেলাইট ক্লিনিকের কর্মকান্ড সমন্ময়ের মাধ্যমে গ্রামিন স্বাস্থ্য সেবা পোষ্ট (Village Health Care Post) থেকে মাসিক ভিত্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা, টিকাদান, শিশুর বাড়ন গতি পর্যানুসরন, ভিটামিন এ, লৌহ বটিকা বিতরন, ডাইরিয়া, চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রন, খাবার স্যালাইন বিতরন, পরিবার পরিকল্পনা সেবা দান, রেফারাল, গর্ভকালিন ও প্রসবোত্তর পরিচর্যা ইত্যাদি প্রতি ওয়ার্ডে ৮ টি গ্রামিন স্বাস্থ্য সেবা পোষ্ট স্থাপন (যে কোন ব্যাক্তির বাড়িতে) একজন স্বাস্থ্য সহকারী (HA) ও একজন পরিবার কল্যান সহকারী (FWA) কতৃক গ্রামিন স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবকের সহযোগীতায় প্রতি মাসে উপরোক্ত সমন্বিত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ব্যবস্থ্য রাখা হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলিগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর “২০০০ সাল নাগাত সবার জন্য স্বাস্থ্য” নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্দুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে ৬০০০ জনগনের জন্য ১টি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মানের সিদ্ধান্ত নেন।
দেশের জনগণকে একটি নির্দিষ্ট মানসম্মত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৮ সালের ২৮ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসূচী বাস্তবায়ন পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়। ১৯৯৮ সালের ১ জুলাই স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসূচী বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। এ কর্মসূচীর আওতায় গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে থেকে ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্যাকেজের’ মাধ্যমে সমন্বিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রাম/ওয়ার্ড পর্যায়ে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়miKvi 1996 mv‡j RbM‡bi †`vi‡Mvovq cÖv_wgK ¯^v¯’¨ cwiPh©v †mev †cŠ‡Q †`qvi j‡ÿ¨ KwgDwbwU wK¬wbK cÖwZôvi cwiiKíbv †bq| ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করে। নীতিমালায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং এর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, তত্ত্বাবধান ও নিরাপত্তা বিধানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্তকরণের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
1998-2001 mgqKv‡j 10,000
Gi AwaK KwgDwbwU wK¬wbK wbwg©Z nq Ges cÖvq 8000 Pvjy Kiv nq| ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, গনপ্রজাতন্ত্রী বংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী , উন্নয়নের কান্ডারী , গনতন্ত্রের মানস কন্য, বঙ্গকন্যা, দেশ নেত্রী, জনগনের দুই চোখের মনি, রাষ্ট্রনায়ক, দেশরত্ন , জননেত্রী কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা, শেখ হাসিনা তার জন্মভূমি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় পাটগাতি ইউনিয়নের ঘিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকে শুভ উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের শুভযাত্রা সূচনা করেন।
wKš‘ 2001 mv‡j Pvjyi Ae¨ewnZ c‡i miKvi cwieZ©‡bi
ci KwgDwbwU wK¬wbK Kvh©µg eÜ K‡i †`qv nq Ges G Ae¯’v 2008 mvj Aewa P‡j| 2009
mv‡j miKvi AMÖvwaKvi wfwˇZ KwgDwbwU wK¬wbK c~biæ¾xwZK‡Yi j‡ÿ¨
ÔwifvBUvjvB‡Rkb Ae KwgDwbwU †nj_ †Kqvi Bwbwk‡qwUfm Bb evsjv‡`kÕ (AviwmGBPwmAvBwe)
kxl©K 6 eQi †gqv`x (RyjvB 2009 n‡Z Ryb 2015 ch©šÍ) cÖKí MÖnY K‡i| cÖK‡íi AvIZvq
cÖ‡qvRbxq †givgZ, bZzb Rbej wb‡qvM I Zv‡`i `ÿZv Dbœqb Ges cÖ‡qvRbxq `ªe¨vw` mieivn A‡šÍ
KwgDwbwU wK¬wbK¸wj ch©vqµ‡g Pvjy Kiv nq| cÖKí ‡gqv‡` wbwg©Z KwgDwbwU wK¬wbK¸wjI
Pvjy Kiv nq| eZ©gv‡b 13136 wU KwgDwbwU wK¬wbK Pvjy Av‡Q Ges kxNªB AviI 200 wU
Pvjy n‡e| RyjvB/2011 n‡Z cÖK‡íi cvkvcvwk HPNSDP Gi AvIZvq ¯^v¯’¨ Awa`߇ii
Aax‡b ÒKwgDwbwU †eBRW †nj_ †KqviÓ (wmweGBPwm) bv‡g GKwU Acv‡ikbvj cøv‡bi gva¨‡g KwgDwbwU wK¬wb‡Ki A‡bK Kvh©µg
m¤úbœ n‡q‡Q| RyjvB, 2015 n‡Z KwgDwbwU wK¬wb‡Ki mKj Kvh©µg wmweGBPwm Gi gva¨‡g
ev¯ÍevwqZ n‡”Q| 2015-2021 ওপি প্রকল্প অদ্যবদী চলে। nvRvi nvRvi MÖvgevmx
we‡klZt `wi`ª I myweav ewÂZ gv I wkï wbKU¯’ KwgDwbwU wK¬wbK n‡Z †mev MÖnY Ki‡Qb
গ্রামবাংলার
মানুষকে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে এবার মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে ধারণ করা বার্তা।
ভয়েস কলে প্রধানমন্ত্রী বলবেন, “প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। আমি শেখ হাসিনা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত। আপনাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত
করার জন্য আমরা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টার করে দিয়েছি আপনাদের দোড়গাড়ায় চিকিৎসেবা পৌঁছে দিচ্ছি।
“আপনারা এই কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টারে আসুন। চিকিৎসেবা নিন। মা, শিশু ও পরিবারের সকলে মিলে আপনারা এই চিকিৎসেবা নেবেন। আপনারা সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন সেটাই আমাদের কামনা। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টার আপনাদের সেবায় নিয়োজিত।” গ্রামাঞ্চলে ছয় কোটি মানুষের মুঠোফোনে পাঠানো হবে এই ভয়েস কল।
সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক
উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্যই সরকারের এ উদ্যোগ। টেলিটকের ০১৫১২৩৪৫৬৭৮ নম্বর থেকে প্রতিদিন ২০ লাখ মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে ধারণ করা এই বার্তা পৌঁছাবে। বিষয়টি তদারক করবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি।
দেশে বর্তমানে ১২ হাজার ২৪৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়। ২০০৯
সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অন্তত ১৬ কোটি বার এসব ক্লিনিক
থেকে সেবা নিয়েছেন রোগীরা।
মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবায় কিমউনিটি ক্লিনিক
গত ২৫ আগস্ট ২০১৫, প্রথম আলো আয়োজনে ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক
শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে এই ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত হলো।
লিং